ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য

জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র - ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য

ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Virus) 

ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যগুলোকে দুভাগে ভাগ করা যায়; যথা-জড়-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য এবং জীব সদৃশ বৈশিষ্ট্য

জড়-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যঃ

১ ভাইরাস অকোষীয়, অতিআণুবীক্ষণিক ও সাইটোপ্লাজমবিহীন রাসায়নিক পদার্থ ।

২. পোষক দেহের বাইরে এরা কোন জৈবনিক কার্যকলাপ ঘটায় না ।

৩. জীবকোষের বাইরে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে না। 

৪. পরিসুত ও কেলাসিত করে ভাইরাসকে স্ফটিকে পরিণত করা যায়।

৫. ভাইরাস আকারে বৃদ্ধি পায় না এবং পরিবেশিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয় না ।

৬. এদের নিজস্ব কোন বিপাকীয় এনজাইম নেই। 

 ৭. ভাইরাস রাসায়নিকভাবে প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিডের জীবীয় বৈশিষ্ট্য সমাহার মাত্র।

জীব সদৃশ বৈশিষ্ঠ্যঃ

১. গাঠনিকভাবে ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড (DNA বা RNA) আছে। 

২. উপযুক্ত পোষক কোষের অভ্যন্তরে ভাইরাস সংখ্যাবৃদ্ধি (multiplication) করতে সক্ষম ।

৩. ভাইরাস সুনির্দিষ্টভাবে বাধ্যতামূলক পরজীবী।

 ৪. ভাইরাস জিনগত পুনর্বিন্যাস ঘটতে দেখা যায়।

৫. ভাইরাসে প্রকরণ (variation) ও পরিব্যক্তি (mutation) দেখা যায়।

৬. এদের অভিযোজন ক্ষমতা রয়েছে।

৭. নতুন সৃষ্ট ভাইরাসে মাতৃভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, অর্থাৎ একটি ভাইরাস তার অনুরূপ ভাইরাস সৃষ্টি করতে পারে। 

পরিব্যক্তি (mutation) : নানাবিধ কারণে জীবের বংশগতি উপাদানের এক বা একাধিক জিনের হঠাৎ স্বতঃস্ফূর্ত পরিবর্তন। এ পরিবর্তন স্থায়ী তাই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেরও পরিবর্তন ঘটে।

Content added By
এতে DNA বা RNA থাকে
জীবকোষের অভ্যন্তরে এরা বংশবৃদ্ধি করতে পারে
এতে জেনেটিক রিকম্বিনেশন ঘটে না
এতে মিউটেশন ঘটতে দেখা যায়
ভাইরাস কোষীয়
ভাইরাস অতি আণুবীক্ষণিক
ব্যাকটেরিয়া আণুবীক্ষণিক
ব্যাকটেরিয়া সজীব কোষের বাইরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
ভাইরাসের কোনো নির্দিষ্ট কোষ নেই
ইহা অতি আণুবীক্ষণিক
ইহাতে প্রোটোপ্লাজম বিদ্যমান
ইহা কেবলমাত্র সজীব কোষে বংশবৃদ্ধি করে
একটি অকোষীয় রোগ জীবাণু
প্রতিাট ভাইরাসের কেন্দ্রে অবস্থান করে নিউক্লিক এসিড
বাইরে থাকে ক্যাপাসিড বা প্রোটিন আবরণ
একই সাথে থাকে DNA ও RNA
এতে DNA বা RNA থাকে না
এরা এককোষীয়
এতে পরিব্যপ্তি ঘটতে দেখা যায়
প্রোটিন আবরণ এন্টিজেন গুণাবলি বহন করে
Promotion